Looking For Anything Specific?


 

How to learn seo easily in bangla || চলুন গল্পে গল্পে এসইও শিখি

How to learn seo easily in bangla

How to learn seo easily in bangla


এসইও মানে সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন। অনেকেই এসই্ও শিখতে চান। এখন অনলাইনে যা করতে যান না কেন এসইও জানা লাগবেই। এসইও খুব সহজ আবার খুব কঠিন। আপনি চাইলে এসইও শিখতে পারেন খুব সহজেই। 

আজকে আমরা দেখবো how to learn seo easily in bangla

আচ্ছা চলুন গল্পে গল্পে এসইও শিখি............

আজকে সকালে একজন হঠাৎ একটি ম্যাসেজ করল আমার ইনবক্সে। প্রশ্ন, “ভাই, গুগলের অ্যালগরিদম আপডেটের পর আপনার ওয়েবসাইটের কি খবর?” রিপ্লাই করলাম, “তেমন কিছু নয়। আগের মতোই যা আছে তা।’ তিনি রিপ্লাই করলেন, “ভাই, সবাই তো কান্নাকাটি করছে আপনার আসল রহস্য কি, আমাদের সাথে প্রকাশ করেন।” আমি রিপ্লাই করলাম, “কেনো রহস্য নাই ভাই। আমি খুবই সাধারনত একজন ভদ্র শ্রেণীর নিরীহ মানুষ।” 😁😁😁



আসলেও ভাই, আমার কোনো রহস্য নাই। আমি সব সময় চেষ্টা করেছি আমার ইউজার/ভিজিটরের জন্য সবচেয়ে বেস্ট জিনিসটা দেওয়ার। আমার ওয়েবসাইটে এসে তারা যাতে কোনোভাবেই বিরক্ত বোধ না করে।

একটা জিনিস কি জানেন? আমরা মূলত সব সময় চিন্তা করি যে কোনো একটি কনটেন্ট এর টাইটেলে, ১ম প্যারাগ্রাফে, URL - এ কীওর্য়াডটি বসাবো। কিছু ব্যাকলিংক করবো গুগল আমাকে র‌্যাংক দিয়ে দিবে।

এই জিনিসটি আমিও চিন্তা করতাম। কিন্তু আমার এই ধারনাটি কখন থেকে ভাঙে জানেন? যখন একবার এক এসইও এর সেমিনারে বাংলাদেশের একজন টপ লেভেলের এসইও এক্সপার্ট বলেছিলেন যে তিনি যদি একদিনের জন্যেও কোনো ওয়েবসাইটের জন্য এসইও এর কাজ করেন, তবুও তিনি কমপক্ষে ১ লক্ষ টাকা তার সার্ভিস চার্জ নিয়ে থাকেন।

কেউ আবার কমেন্টে গিয়ে বলিয়েন না যে উনি বাংলাদেশের যেহেতু একজন টপ লেভেলের এক্সর্পাট সেহেতু উনার অভিজ্ঞতা আর দক্ষতার একটা দাম তো নিশ্চয়ই আছে।

জি, আছে।



তবে কম্পিউটার ভিত্তিকে যেকোনো স্কিলের একটা প্রধান সমস্যা কি জানেন? আপনার ১০ বছরের অভিজ্ঞতা নাকি ১ বছরের অভিজ্ঞতা সেটা দেখে সাধারনত আপনি কাজ করতে পারবেন না। আপনি কাজ করতে পারেন কি না সেটা সেখানে নির্ভর করবে।

আপনি ৯টা থেকে ৫টা পর্যন্ত ১০ বছর অফিস করে যদি মনে করেন আপনি এই সেক্টরগুলোতে অভিজ্ঞ হয়ে গিয়েছেন, আপনার অনেক দক্ষতা চলে এসেছে তাহলে ভুল করছেন।

আপনি কে? কি করছেন? কোথায় থাকেন? কত দিন ধরে কাজ করছেন? এগুলি কিচ্ছু যায় আসে না এখানে। আপনি কাজ করতে পারেন কি না - সেটার উপর নির্ভর করবে সব কিছু। সহজ কথায় আপনার স্কিলের উপর এখানে সব নির্ভর করবে।



তো সেই থেকে আমি চিন্তা করতে থাকলাম এমন কি আছে যেটা উনি জানে কিন্তু আমি জানি না। যার জন্য উনি ক্লায়েন্ট কার কাছ থেকে ১ দিনের জন্যে ১ লাখ টাকা চার্জ করতে পারে কিন্তু আমি পারি না!!!

ঘাটাঁঘাটি করতে করতে কিছু বিষয় পেলাম যেগুলোর দিকে আসলে আগে কখনও আমি খুব একটা মাথা ঘামাতাম না। দেখুন গুগলের কাছে হাজার হাজার, লক্ষ লক্ষ ওয়েবসাইট আছে তার ১ম পেজে র‌্যাংক করানোর জন্য।

কিন্তু গুগল সেখান থেকে মাত্র ১০টি ওয়েবসাইটকে ধরে নিয়ে আসে তার ১ম পেজে। আচ্ছা বলুন, "how to learn seo” - এই কীওর্য়াডটি লিখে আপনি যদি গুগলে সার্চ করেন তাহলে দেখবেন সেখানে ১ম পেজে Mangotools, Moz, Ahrefs, Backlinko - এরা র‌্যাংক করে আছে।

২য় পেজে গেলে দেখবেন সেখানে Neilpatel, Quicksprout (Neil Patel এর আরেক জায়ান্ট ওয়েবসাইট), Seopressor র‌্যাংক করে আছে। এরা কি আপনার মতে এসইও কম পারে?

৩য় পেজে গেলে দেখবেন সেখানে ‍Seobook, Serpstat, Medium - এর মতো ওয়েবসাইটগুলি র‌্যাংক করে আছে। এরা তো এসইও এর উপর বেশ ভালো জ্ঞান বিতরন করে (আমি তাদের ছোট করছি না। তারা আসলেই খুব খুব ভালো মানের কনটেন্ট দিয়ে থাকে এসইও এর উপর এবং আমরা যদি সেগুলি নিয়মিত পড়ি, তাহলে এসইও এর অনেক অনেক বিষয় আমরা জানতে পারব; যেটা হয়ত আগে মাথায়ও আসে নি। অন্তত আমার সেরকমটাই হয়ে থাকে) তাহলে তারা কেন এই কীওর্য়াডগুলিতে র‌্যাংক করে নি?

সবচেয়ে মজার ব্যাপার কি না জানেন? গুগল এমন একটা পেজকে এখানে র‌্যাংক দিয়েছে যেটা আসলে আমাদের হিসেবে এখানে ফির্চাড
স্নিপেটে দিয়েছে যার আসলে থাকার কথা নয়।


Image Source : Jcount.com

dynomapper.com - এই ভদ্রলোক গুগলের ১ নাম্বার (ফির্চাড স্নিপেট) পজিশনে জায়গা করে নিয়েছে। যার ডোমেইন অথোরিটি আর পেজ অথোরিটি মজ এক্সটেনশন এর হিসাব অনুযায়ী ৪৪ এবং ৩৬ এবং ব্যাকলিংক রয়েছে ৩৭টি (আমি মজের ফ্রি ভার্শন দিযে এগুলি চেক করছি)।

কিন্তু সেই মজের ওয়েবসাইটকে গুগল এই কীওর্য়াডে ৩ নাম্বারে র‌্যাংক দিয়ে রেখেছে যার ডোমেইন অথোরিটি ৮৯, পেজ অথোরিটি ৬৩ আর ব্যাকলিংক রয়েছে ৫,৮৪৮টি।

সবচেয়ে মজার ব্যাপার কি জানেন? Moz এবং Dynomapper - এই দুইটা সাইটের একটাও “how to learn seo” - এই কীওর্য়াডটা একটাবারও তাদের সাইটের কোথাও একবারও ব্যবহার করে নি। 😂😂😂

কি অবাক হচ্ছেন?

আমার কথঅ বিশ্বাস করার দরকার নেই। নিজে গিয়ে সার্চ করে দেখে আসুন। তাহলে এবার আমাকে উত্তর দিন কেন গুগল তাদেরকে এই রকম একটা সুপার হাই কম্পিটিটিভ কীওর্য়াডে ১ম পেজে রেখেছে যেখানে তারা এই কীওর্য়াডই ব্যবহার করে নি তাদের পেজে?

উত্তর পেলেন?



এটাই হচ্ছে গুগলের মজা। আর এখানেই ওই ভদ্রলোক আর আমার মাঝে পার্থক্য?

দেখুন এসইও যদি সত্যিই এরকম কোনো বিষয় হতো যে আমি আপনাকে ৬৮ টি টিপস দিয়ে দিতাম আর আপনি একটার পর একটা কাজ করে যেতেন এবং গুগলের ১ম পেজে র‌্যাংক করে যেতেন তাহলে এই কাজটা আপনার থেকে একটা রোবট (কম্পিউটার প্রোগ্রাম) আরো ভালো ভাবে করতে পারত।

কিন্তু যেহেতু সেরকমটা হয় না তারমানে এসইওতে এরকম কোনো স্টেপ বাই স্টেপ গাইডলাইন নেই। আপনাকে বুঝে শুনে কাজ করতে হবে।

আমি এখন গুগল অ্যালগুরিদমকে খুব একটা ভয় পাই না কেন জানেন? দিন শেষে গুগল আর আমি একই পথের যাত্রী। 😁😁😁

কিভাবে সেটা বলি। দেখুন গুগল এই ধরনের আপডেট কেন আনে? যাতে সে তার ইউজারকে বেস্ট রেজাল্টটি শো করতে পারে।

২০১০ এর দিকের সময়ের মতো এখনও যদি গুগল সেই ”যার যত বেশি ব্যাকলিংক, সে তত ভালো র‌্যাংক পাবে” - এই নীতিতে গুগল যদি তাদের ১ম পেজে ওয়েবসাইট র‌্যাংক দিত তাহলে আপনার কি মনে হয় যে তখন গুগলের ইউজার যত ছিল, এখনও তত থাকত?

কক্ষনই না।

এরকম অন্ধবিশ্বাসে বিশ্বাসী হলে এক সময়কার মোবাইল ফোন কোম্পানীদের মধ্যে সবচেয়ে বড় টেক জায়ান্ট নোকিয়া আজও মার্কেটের ৯০ ভাগ দখল করে বসে থাকত।

গুগলের ইউজার সেক্ষেত্রে দিনকে দিন কমত এবং মানুষ হয়ত অন্য কোনো ভালো সার্চ ইঞ্জিন খুজেঁ নিত এতোদিনে।

তো যেহেতু গুগল চাচ্ছে তার ইউজারকে খুশি করতে, তো আমিও যদি গুগলকে খুশি করা বাদ দিয়ে গুগলের ইউজারদের খুশি করার জন্য কাজ করে যাই তাহলেই তো ঝামেলায় শেষ!

বুঝেন নি?

আচ্ছা আরেকটু সহজ করে বলছি, ধরুন আপনাকে কোনো এক কোম্পানীতে মার্কেটিং এর চাকরি দেওয়া হলো। আপনি সেই অফিসের বসকে খুশি করার জন্য প্রতিদিন তার জন্য নিজের হাতে মোয়া, হালুয়া, পিঠাপুলি বানিয়ে নিয়ে যান। এতে কি আপনার বস বেশি খুশি হবে নাকি যদি আপনি আপনার মার্কেটিং এর কাজটি ঠিকভাবে করে কোম্পানীর সেল দিনকে দিন বৃদ্ধি করার জন্য কোনো ইনোভেটিভ কিছু করতেন তাহলে আপনার বস বেশি খুশি হতেন?

গুগলও ঠিক সেটিই চায়। আমরা সব সময় গুগলকে খুশি করার জন্য কাজ করি, গুগলের ইউজারকে নয়। কিন্তু গুগল আসলে চায় তারা ইউজার খুশি থাকুক। সে খুশি না থাকলেও চলবে।

আর ঠিক এই কাজটিই করার চেষ্টা করি আমি। কিন্তু কিভাবে? তেমন কিছু না। জাস্ট আমার নিশের ইউজাররা আসলে কি ধরনের বিষয় সর্ম্পকে বেশি ইন্টারেস্টেড, কি ধরনের সমস্যায় তারা সবচেয়ে বেশি পড়েন, কি কি বিষয় নিয়ে তারা বেশি ঘাটাঁঘাটিঁ করে - আমি সেই বিষয়গুলি নিয়ে বেশি কাজ করি।

আমি সেই সেই টপিকে কনটেন্ট দেওয়ার চেষ্টা করি। আমি জানি, আমি কনটেন্ট দিলে গুগল আমার সেই কনটেন্ট থেকে কয়েক’শ কীওর্য়াড এমনিতেও নিবে আমি না চাইলেও।

তারপর সেই সব কীওর্য়াডের মধ্যে কোন কোন কীওর্য়াডের বিষয়ে আমি কোনো কথাই বলি নি আমার কনটেন্টে, সেগুলোকে নিয়ে কয়েক লাইন লেখার চেষ্টা করি। এতে আমার কনটেন্টটি আরো আপডেটেড এবং লং হয়।

সাইটের কিছু ব্যাসিক ব্যাকলিংক করা থাকলে তখন বেশ কিছু কীওর্য়াডে আমার সেই পোস্টটি তখন গুগলের ২/৩ নাম্বার পেজে ঘুরাঘুরি করা শুরু করে।

আমি কিন্তু তখনই গেস্ট পোস্টিং বা এ ধরনের ব্যাকলিংক করা শুরু করি না। কয়েক সপ্তাহ ওভাবেই সেটি থাকে। আমি আবার অন্য কোনো পোস্ট নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়ি।

কয়েক সপ্তাহ পড়ে হয়ত কোনো এক সন্ধ্যায় চেক দিই কোন পোস্টের কি খবর? দেখা যায় সেখান থেকে কয়েকটা অলরেডি গুগলের ১ম পেজে র‌্যাংক করে গিয়েছে। কোনো কোনোটা আবার হয় নি।

তখন দেখা যায় কিছু গেস্ট পোস্ট বা এ ধরনের কিছু ব্যাকলিংক করলে সেগুলিও র‌্যাংক করে যায় ইনশাল্লাহ্ (ব্যাকলিংক করার পরের দিনই র‌্যাংক করে না। কয়েক সপ্তাহ থেকে কয়েক মাসও সময় লাগতে পরে ক্ষেত্রবিশেষে)।

প্রশ্ন: কিন্তু এতে তো আমি আমার কাঙ্খিত কীওর্য়াডে র‌্যাংক নাও করতে পারি?
উত্তর: জি, করতে পারেন। হয়ত গুগল আপনাকে ১০০ টা ভিন্ন ভিন্ন কীওর্য়াডে র‌্যাংক দিয়েছে কিন্তু আপনি আসলে যেটাতে র‌্যাংক করতে চেয়েছিলেন সেটাতেই সে আপনাকে র‌্যাংক দেয় নি।

তবে এখানে আমার আরেকটি প্রশ্ন আছে আপনার কাছে। আপনি কি এসই করেন কীওর্য়াডে র‌্যাংক করানোর জন্য নাকি আপনার সাইটের অর্গানিক ট্রাফিক বৃদ্ধি করার জন্য?

যদি ১মটি তাহলে আমার কিছু বলার নেই। আর যদি ২য়টি হয় তাহলে গুগল যে আপনাকে ১০০টি কীওর্য়াডে র‌্যাংক দিল সেখান থেকে কি কোনো ট্রাফিকই আপনি পাচ্ছেন না?

তবে আমার জানামতে গুগল সার্চ কনসোলে আপনাকে এমন কোনো কীওর্য়াড দেখানোর কথা নয় যেখানে একটা ইম্প্রেশনও নেই। যেহেতু অন্তত ১ জন মানুষও সেই কীওর্য়াডটি লিখে গুগলে সার্চ করেছে, সুতরাং আরো মানুষ গুগলে সার্চ করতে পারে।

অতএব, আমার মতে ওই ১০০টি কীওর্য়াড থেকে আপনার কমপক্ষে ৫০ জন হলেও ট্রাফিক পাওয়ার কথা।



প্রশ্ন: তাহলে সেক্ষেত্রে আমি বায়িং কীওর্য়াড, ইনফো কীওর্য়াড এগুলি বাছাই করব কিভাবে?
উত্তর: বাংলাদেশের মানুসকে যদি আপনি টুইটারে মার্কেটিং করানোর জন্য আপনার সাথে যোগযোগ করতে বলেন তাহলে তারা জীবনেও করবে না।

কিন্তু ফেসবুকে মার্কেটিং এর ব্যাপারে একবার কথা বলে দেখুন। আপনার কাছ থেকে সার্ভিস না নিলেও আপনার সাথে এ ব্যাপারে কথা বলতে চাইবে।

একই রকম ভাবে আপনার ইউজার কখন প্রোডাক্ট কিনবে আর কখন কিনবে না সেটা আপনার ইউজারের উপরই ছেড়ে দিন। আর তাছাড়া, সব ট্রাফিককি আপনি গুগল থেকেই নিবেন?

নিজের সাইটের ট্রাফিকদেরকে যদি আপনার সাইটের অন্য কোনো মানি কনটেন্ট থেকে প্রোডাক্ট কেনাতে না পারেন তাহলে তো ভাই হবে না। সব সময়ই গুগলের দিকেই তাকিয়ে থাকতে হবে।



আর তাছাড়া গুগল কি আপনার কনটেন্ট থেকে একটিও বায়িং কীওর্য়াড নিবে না? নিশ্চয়ই নিবে।

তখন সেগুলিকে অপ্টিমাইজ করলেও আমার মনে হয় খুব একটা সমস্যা হওয়ার কথা নয়।

এবার আমার একটি প্রশ্নের উত্তর দিন। বলুনতো এই কনটেন্টটি কি ইউজার ফ্রেন্ডলী নাকি গুগল ফ্রেন্ডলী? উত্তরটি জানাবেন কিন্তু। কেউ আবার ভাববেন না যে আমি এখানেও মার্কেটিং করছি। আমি তো আগেই বলেছি, আমি খুবই সাধারনত একজন ভদ্র শ্রেণীর নিরীহ মানুষ। 😁😁😁

আরো ভালো ভাবে জানতে ভিডিওটি দেখতে পারেন


Post a Comment

0 Comments