Looking For Anything Specific?


 

কিভাবে একজন সফল ফ্রিল্যান্সার হওয়া যায়?

ফ্রীল্যান্সিং করতে চান অথবা ফ্রীল্যান্সার হতে চান? কিভাবে একজন সফল ফ্রিল্যান্সার হওয়া যায়?

পারবেননা --> কারণ.....

সারা জীবনের জন্য একটি স্কিল ডেভেলপ করতে চাচ্ছেন পাশাপাশি আপনার পরিবার এবং নিজের জীবনকে সুন্দর/সচ্ছলতার সহিত পরিচালনার জন্য ইনকাম করতে চাচ্ছেন।
ভালো কথা আপনি হয়তো ফ্রীল্যান্সার হওয়া অথবা ফ্রীল্যান্সিং করার কথা ভাবছেন। অতি উত্তম।
আচ্ছা প্রথমেই আপনাদের দিবা-স্বপ্ন এবং কিছু ভুল ধারণা ভেঙে দিচ্ছি।
ফ্রীল্যান্সিং কোনো লটারির টিকেট না যে কিনলেন আর প্রথম পুরুস্কার জিতে কোটি কোটি টাকা মালিক হয়ে গেলেন।


কিভাবে একজন সফল ফ্রিল্যান্সার হওয়া যায়?
কিভাবে একজন সফল ফ্রিল্যান্সার হওয়া যায়?

এই পেশায় রাতারাতি আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হওয়া যায়না।
এইটা জুয়ার বোর্ড নয় যে লাক ফেবার করলো আর জ্যাকপট পেয়ে গেলেন।
ফ্রীল্যান্সিং করতে চান অথবা ফ্রীল্যান্সার হতে চান তাহলে নিম্নোক্ত বিষয়গুলা মাথায় পেরেক দিয়ে ঠুকে নেন একটাও যদি স্কিপ করেন তাহলে আকাশে উড়তে উড়তে ধপাস করে মাটিতে পরে যাবেন --> এটাই হবে আপনার ফিউচার। দিবা-স্বপ্ন বা দুঃস্বপ্নের পরিণতি একটাই --> বাঁশের বাগান।

আপনার কি ভালো লাগে আপনি কি করতে চান সেটাই হচ্ছে সব চাইতে বড় কথা। অমুকে-তমুকে ফ্রীল্যান্সিং করে বাড়ি-গড়ি করে ফেলছে। আর আপনিও একদম বিচার-বিবেচনা ছাড়াই ঝাপ দিলেন তাহলে সফলতা পাবেননা। অন্যকে অন্ধের মতো অনুসর করে হয় বোকা অথবা যারা অলরেডি দাসত্ব মেনে নিয়েছে তারা।

আমরা সবার সফলতাটাই দেখি কিন্তু এর পিছনে তার আত্মত্যাগ, পরিশ্রম এইসব দেখিনা।

“I start early and I stay late, day after day, year after year. It took me 17 years and 114 days to become an overnight success.”
--> Leo Messi.

কিভাবে একজন সফল ফ্রিল্যান্সার হওয়া যায়? ফ্রীল্যান্সিং করতে চাই বা ফ্রীল্যান্সার হতে চাই। গ্রাফিক্স ডিজাইন অথবা ডিজিটাল মার্কেটিং এই ২-টার কোনটা শিখলে আগামী ৬-মাসে ইনকাম করতে পারবো?


আমার উত্তর হবে আপনি ডাইরেক্ট ভিক্ষা করেন তাহলে ১-ঘন্টার মধ্যেই হয়তো আপনার ইনকাম শুরু হয়ে যাবে।

যুদ্ধেই নামলেননা অথচ অগ্রিম জয়ের চিন্তা শুরু করে দিয়েছেন। টাকা ইনকাম করার ধান্দায় ফ্রীল্যান্সিং করতে আসবেননা ওকে তাহলে কপালে ব্যর্থতা ছাড়া কিছুই জুটবেনা। আপনার নিজেকে দক্ষ এবং অভিজ্ঞ একজন হিসেবে গড়ে তোলাই হবে মূল লক্ষ্য। আর আমার লাইফে অন্তত কোনো দক্ষ এবং অভিজ্ঞ লোককে বেকার বসে থাকতে দেখিনি।

যারা দক্ষতার এবং অভিজ্ঞতার পিছনে সময় ও শ্রম দেয় সফলতা সর্বদাই তাদের পিছনে দৌড়ায়।
৬-বছর থেকে শুরু করে ২৪-বছর পর্যন্ত পড়ালেখা করে ১৫-লক্ষ টাকা ঘুষ দিয়ে যদি কেরানীর চাকুরী নিতে অথবা ১৫-লক্ষ টাকা খরচ করে ইতালি যেয়ে রাস্তায় দাঁড়িয়ে চানাচুর বিক্রি করতে যদি আপনার অধৈয্য না লাগে তাহলে ফ্রীল্যান্সিং এর পিছনে মাত্র ১-টা বছর আর ৫০-হাজার টাকা ইনভেস্ট করতে এত গা জ্বলে কেন আপনাদের?

এখানে এমন অনেক ফ্রীল্যান্সার আছে যাদের মাসিক ইনকাম ৫-লক্ষ টাকার বেশি। মাস শেষে একটা সম্মানজনক এমাউন্ট ইনকাম করবেন এর পিছনে জাস্ট সময়,শ্রম এবং মেধা ইনভেস্ট করবেন এতেই যদি এতো আপত্তি থাকে তাহলে ফ্রীল্যান্সিংয়ে আকাশ-কুসুম কল্পনা করে কোনো লাভ হবেনা।

কেউ বিষয়টাকে উগ্র ভাবে নিবেননা। আমি একজন ফ্রীল্যান্সার আর আমার পেশাকে আমি সন্মান করি কেউ যখন এই পেশাকে অসম্মান করে তখন মেজাজ খারাপ হওয়াটাই স্বাভাবিক।

আপনি এমন একটা পেশায় আসতে চাচ্ছেন যেই পেশা সম্পর্কে আপনার ধারণা স্পষ্ট না এবং আপনার অগ্রণ এবং সন্মানবোধের অভাব আছে। আপনার জন্য হাইকোর্টের সামনে বসে ভিক্ষা করা, ইতালিতে চেনাচুর বিক্রি করা অথবা কেরানির চাকুরী নেয়াই বেটার হবে।

লিওনেল মেসি খেলা শেষে তার নিজের জুতা নিজে পরিষ্কার করে অনেক সময় তার জুতায় চুমু দেয়।
কি একদম মহাভাতর অশুদ্ধ করে ফেলেছে জুতায় চুমু দিয়ে নাকি একজন বিলিওনিয়ার প্লেয়ার জুতা পরিষ্কার করবে বিষয়টা মানায়না কোনটা?

অশিক্ষা সবচাইতে বড় অভিশাপ তার চাইতেও বড় অভিশাপ বোকামি।
মেসি তার পেশাকে সন্মান করে.ফুটবল তার জন্য ভালোবাসা তার ওই জুতা পরিষ্কার এবং জুতায় চুমু দেয়া তার পেশার প্রতি তার শ্রদ্ধা এবং সম্মানের বহিঃপ্রকাশ মাত্র।

দৃষ্টিভঙ্গি বদলান আপনি গাধার মতো দৃষ্টিভিঙ্গ দিয়ে বাঘের মহিমা কখনই বুঝতে পারবেননা। নৌকার মাঝি বসে থাকে অনুকূল বাতাস অথবা স্রোতের গতির আশায় সে প্রতিকূলতার বিপক্ষে আধুনিক জাহাজের ন্যাটিক্যাল মাইলের হিসাব নিকাশ বুঝবেনা।

যদি সিরিয়াসলি ফ্রীল্যান্সিং করতে বা ফ্রীল্যান্সার হতে চান তাহলে নিম্নোক্ত বিষয়গুলা আপনার জন্য। সিরিয়ান না হলে ডাইরেক্ট এভোয়েড করেন।

বিঃদ্রঃ- নিম্নোক্ত বিষয়গুলা আমি অন্য একজন লেখকের পোস্ট থেকে কপি করে কিছুটা নিজস্বতার সংমিশ্রনে লিখেছি।

১) সর্ব প্রথম এবং প্রধান কারণটি হচ্ছে ফ্রীল্যান্সিং সম্পর্কে ভালোমতো না জেনে/বুঝে অন্ধের মতো ঝাঁপ দেয়া।

না জেনে না বুঝে এবং চটকদার বিজ্ঞাপনে দেখ বিচার-বিবেচনা ছাড়াই অন্ধের মতো ফ্রীল্যান্সিংয়ে ঝাঁপ দিবেননা এর ফলাফল হচ্ছে ব্যর্থতা। আমার অনেক পেইড কোর্স, ট্রেনিং ইনস্টিটিউট এবং ট্রেইনার একদম জঘন্য টাইপের ছিল। এই ক্ষেত্রে আসলে বুঝার তেমন একটা উপায় নেই তার পরেও আপনি আপনার সর্বোচ্চ চেষ্টা করবেন যাতে ফালতু কোর্স, ট্রেইনার বা ইনস্টিটিউটের পাল্লায় না পড়েন। ঠকবাজরা ঠকাতে চাইবেই তবে আপনাকে বিচার-বিদ্ধু খাটিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে বোকার মতো যদি সিদ্ধান্ত নিয়ে ঠকে গেলে তখন আর ঠকবাজদের দোষ দিয়ে লাভ নাই।

আজকাল ব্যাঙের ছাতার মতো ফ্রীল্যান্সিং ট্রেইনিং ইনস্টিটিউট এবংট্রেইনার বের হইছে যাদের মধ্যে ৯০%-ই জঘন্য টাইপের। এইসব চটকদার বিজ্ঞাপনে যথেষ্ট মিথ্যা প্রলোভন থাকে। মিথ্যা প্রলোভনে আকৃষ্ট না হয়ে বিচার-বিবেচনা করে এবং নিজের পছন্দ বা আগ্রহ আছে এমন বিষয়ে ট্রেনিং নেন এবং অবশ্যই ভালো কোন প্রতিষ্ঠান এবং ট্রেইনারের কাছে শিখবেন।

২) মাইন্ড সেট।

আপনি কি শিখতে চান কেন শিখতে চান এবং এর পিছনে আপনার উদ্দেশ্য বা লক্ষ্য কি? খুব গুরুত্ব সহকারে এই বিষয়টি বিবেচনা করেন এবং সেই অনুযায়ী কোনো বিষয় বা ক্ষেত্রে ট্রেনিং নিবেন বা শিখবেন সেটা নির্ধারণ করেন এবং একটি নির্দিষ্ট সময় বা লক্ষ্য নির্ধারণ করুন --

> যেমনঃ- আমি ওয়ার্ডপ্রেস/এসইও/গ্রাফিক্স-ডিজাইন/ডিজিটাল মার্কেটিং/অন্যান্য (যেকোনো ১/২-টি) শিখবো, আগামী ৬/৮-মাসের মধ্যে শিখবো/ ১০-মাস/১-বছর থেকে আমি ইনকাম করা শুরু করবো।

৩) ইংরেজি (মিনিমাম কমিউনিকেটিভ) ফ্লুয়েন্ট হলে এক্সট্রা এডভ্যান্টেজ।

আপনি ইংরেজি না জানলে ফ্রীল্যান্সিংয়ের পাশাপাশি স্পোকেন ইংলিশের উপরে ভালো একটা কোর্স করেন। ইংলিশে দক্ষতা থাকা ফ্রীল্যান্সিংয়ের ক্ষত্রে অনেকটা ক্রিকেটে ফ্রি হিট পাওয়ার মতো

এডভ্যান্টেজ দিবে আপনাকে। যথেষ্ট পরিমান দক্ষতা, যোগ্যতা এবং অভিজ্ঞতা থাকার পরেও শুধুমাত্র ইংলিশ না জানার কারণে আপনি ব্যর্থ হবেন। আর ইংলিশ জানলে কিছু পারেন বা না পারেন এই ল্যাঙ্গুয়েজ বিক্রি করেই খেতে পারবেন আজীবন। ইউটিউবে যান শুধুমাত্র ইংলিশ পারে আর কোনো যোগ্যতাই নেই। এই ইংলিশকে পুঁজি করে অন্যের তৈরী করা ভিডিওয়ের উপরে রি- এ্যাকশন ভিডিও তৈরী করেই দিব্যি মাস শেষে লাখ লাখ টাকা ইনকাম করছে অনেকেই।

ইদানিং অনেক ইউরোপিয়ান বা আমেরিকানরা শুধুমাত্র বলিউড এর বিভিন্ন গান বা সিনেমার উপরে এই রি- এ্যাকশন ভিডিও বানায় আর ইন্ডিয়ার ১২০+ কোটি মানুষের বাজার সুরতাং তাদের ভিডিওতে খুব ভালো ভিউ আসে আর ইনকামও যথেষ্ট ভালো। একপ্রকার বসে বসে ইনকাম আলাদিনের চেরাগের মতোই অবস্থা।

৪) স্কিলের চাইতে টাকা ইনকাম করাকে অধিক গুরুত্ব দেয়া।

ভুলেও কখনোই স্কিলের চাইতে টাকা ইনকাম করাটাকে অধিক গুরুত্ব বা প্রাধান্য দিবেননা কারণ অল্প বিদ্যা ভয়ঙ্করী। আপনি হয়তো হালকা কিছু কাজ শিখেই ইনকাম শুরু করতে পারবেন কিন্তু সেটা পার্মানেন্ট হবেনা। আপনি পরবর্তী সময়ে কাজের ক্ষেত্রে আটকে যাবেন বা কাজ পাবেননা অথবা আপনার পক্ষে বড় বা কঠিন কাজ করা সম্ভব হবেনা। আপনি যেই ক্ষেত্রেই কাজ করেননা কেন আপনাকে মনে রাখতে হবে ফ্রীল্যান্সিংয়ে আপনাকে সারা বিশ্বের বাঘা বাঘা দক্ষ এবং অভিজ্ঞ লোকদের সাথে পাল্লা দিয়ে কাজ করতে হবে সুতরাং আপনার নির্দিষ্ট বিষয়/ক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই সর্বোচ্চ লেভেলের দক্ষ এবং অভিজ্ঞতা সম্পন্ন হতে হবে।

এক্সট্রা টিপস ---> অধ্যবসায় এবং পরিশ্রম।

সফলতার ক্ষেত্রে অধ্যবসায়ের (বার বার চেষ্টা করা) বিকল্প নাই। নিয়মিত পরিশ্রম করতে হবে কাজ এবং শেখা উভয় ক্ষেত্রে কারণ ---> পরিশ্রম সৌভাগ্যের প্রসূতি।

আপনি ব্যর্থ হবেন, কাজ পাবেননা, অথবা কাজ পেলেও ঠিকমতো করতে পারবেননা। কিছু কিছু ক্ষেত্রে ক্লায়েন্ট টাকা দিবেনা এমন প্রতিবন্ধকতা আসবে আর আপনাকে সব বাধা অতিক্রম করে এগিয়ে যেতে হবে। এই স্ট্রাগলিং পিরিয়ডটা হতে পারে অনেক দীর্ঘ কিন্তু একবার পার হলেই রাতারাতি সফলতার হাই-ওয়েতে উঠে যাবেন।

লিওনেল মেসি কিন্তু একটানা ১৭-বছর সকাল সন্ধ্যা পরিশ্রম করার পরেই রাতারাতি তারকায় পরিণত হয়েছিল। তারকা হতে সময় লেগেছে ১-ম্যাচ কিন্তু ওই ১-ম্যাচ পর্যন্ত যেতে সময় লেগেছে ১৭-বছর।

ধন্যবাদ সবাইকে এবং হ্যাপি ফ্রীল্যান্সিং।

Post a Comment

0 Comments