ইভ্যালি কিভাবে কম টাকায় পণ্য দেয় – ইভ্যালির বিজনেস মডেল কি? এমন প্রশ্ন বর্তমানে অনেকের মনেই আসছে। তাই আজকের এই লিখা।
ইভ্যালি কিভাবে কম টাকায় পণ্য দেয় – ইভ্যালির বিজনেস মডেলঃ পদ্ধতি-১
১। একটা প্রোডাক্ট ম্যানুফ্যাকচারিং হবার পরে কঞ্জিউমারের কাছে পৌছাতে এর সাপ্লাইচেন যত বেশি বড় হবে এর বাজার মূল্যও ততই বাড়বে। মূলত এভাবেই আমরা ভোক্তারা মার্কেটে কোন প্রোডাক্টয়ের ফাইনাল মূল্যর মুখোমুখি হয়ে থাকি।
ম্যানুফ্যাকচারিং TO কনসিউমার চেন:
Component/Raw-material suppliers
Manufacturers
B2B Factories
Warehouse
Wholesalers/Distributors
Retailers
Customers
এইভাবে সাপ্লাইচেন যত বেশি বড় হবে এর বাজার মূল্যও ততই বাড়বে।
এখন লক্ষ্য করার বিষয় হল ইভালী কিন্তু এই বিশাল সাপ্লাইচেন কখনও ব্যাবহার করেনা। তারা সরাসরি ম্যানুফ্যাকচার থেকে কঞ্জিউমারের কাছে পণ্য পৌঁছে দেয়। তাই তাদের তুলুনা মূলক অনেক কম টাকায় বিক্রি করতে পারে। কারন সাপ্লাইচেন যত কমে আসবে পণ্যর দামও তত কমে যাবে।
সাপ্লাই চেন যত কম হবে এতে করে সেলস ম্যান ডেলিভারি খরচসহ সকল সেক্টরে খরচ কমে যায়।
ইভ্যালির বিজনেস মডেলঃ পদ্ধতি-২
২। একটা প্রোডাক্ট ফ্যাক্টরি থেকে শোরুমে এসে যত বেশিদিন পড়ে থাকবে এর উপড়ে বিনিয়গক্রিত মুনাফাও তত বেশি বাড়তে থাকবে। তাই এটা ভেবে ফ্যাক্টরিগুলো আগেই তাদের প্রোডাক্টটের দাম বাড়িয়ে রাখে। যখন পণ্য সরবরাহের বিষয়টি আসে তখন এভ্যালি মূলত অ্যামাজনের মডেলকে অনুসরণ করে।
এই ক্ষেত্রে, ভোক্তাদের আদেশ পাওয়ার পরে, বিক্রেতার কাছ থেকে পণ্যটি প্রথমে ইভ্যালির গুদামে আসে কিন্তু তারা যখন ইভ্যালিকে তাদের প্রোডাক্ট দিচ্ছে তখন কিন্তু তাদের প্রোডাক্ট স্টকে থাকছে না। কারন ইভ্যালি তাদেরকে প্রি-অডার করে থাকে। তাই ইভ্যালি কম টাকায় প্রোডাক্ট আনতে পারে। এবং কম টাকায় বিক্রি করতে পারে।
বিস্তারিত জানতে এখানে ক্লিক করুন: https://marketerrashed.com/business-model-of-evaly/
0 Comments